
মোঃ খোকন প্রধান, ষ্টার্ফ রিপোর্টার-
করোনা পরিস্থিতিতে সরকারের পক্ষ থেকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে নির্দেশনা রয়েছে। ইতিমধ্যে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে বেশ কিছু ছোট ছোট যানবাহন চলাচল করছে। ঈদকে সামনে রেখে অনেকে নারায়ণগঞ্জে প্রবেশ ও নারয়ণগঞ্জ থেকে অন্য জেলায় চলে যাচ্ছে। বিষয়টি মঙ্গলবার প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যবেক্ষণে এমন চিত্র উঠে আসে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত আনুমানিক ৩ হাজার ব্যক্তিগত গাড়ি ঢাকা-চট্টগ্রাম সড়ক থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। জেলার মোট ৮টি পয়েন্টে পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়ে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জে ইন আউট বন্ধ করা হয়েছে বলেও জানা গেছে। সকাল থেকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ মুখী যানবাহনগুলো উল্টোপথে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। ঈদকে সামনে রেখে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ থেকে বিভিন্ন জেলার মানুষ ছোট ছোট বাহনে করে নারায়ণগঞ্জ ছাড়ছেন। এমন পরিস্থিতিতে প্রশাসন কঠোর অবস্থান নিয়েছেন।
ঈদকে সামনে রেখে মানুষ নারায়ণগঞ্জ থেকে ছুটছেন নিজ নিজ গ্রামের বাড়িতে। লকডাউন শিথিল হওয়ার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এরই মধ্যে অনেকে ছেড়েছেন নারায়ণগঞ্জ। সামনে সরকারের পক্ষ থেকে কারফিউ দেয়ার খবরে নারায়ণগঞ্জে বসবাসকারী অনেকেই ছোট ছোট বাহনে করে পাড়ি দিচ্ছেন অন্য জেলায়। মঙ্গলবার সকাল থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সোনারগাঁওয়ের মেঘনাঘাট, মোগড়াপাড়া, বন্দরের মদনপুর, সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় ও সাইনবোর্ড এলাকাসহ আটটি চেকপোস্ট বসিয়ে জেলা পুলিশ অবস্থান নেয়। এসময় কোন কারণ ছাড়া যারা নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকায় প্রবেশ করার চেষ্টা করেছেন তাদেরকে উল্টো পথে ফিরিয়ে দিয়েছেন। এসময় লকডাউনের আওতামুক্ত যানবাহন ব্যতীত ও অন্য বাহনগুলো যাতে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর ভূমিকা পালন করা হয়।
অন্যদিকে, পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জে প্রবেশ বা বাহির হওয়ার জন্য যৌক্তিক কারণ দেখাতে না পারায় যেখান থেকে তারা এসেছে সেখানে ফেরত পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মেঘনা ঘাট,লাঙ্গলবন্দ, মদনপুর, কাঁচপুর, সাইনবোর্ড, শিমরাইলসহ নারায়ণগঞ্জ অংশে আটটি চেকপোস্ট বসিয়ে ঢাকার প্রবেশ ও বাহিরের বিষয়টি তদারকি করা হচ্ছে। ঈদকে সামনে রেখে সরকারি নির্দেশনার বাইরে যাতে কোনো ব্যক্তিগত যানবাহন ঢাকায় প্রবেশ ও বের হতে না পারে সে বিষয়টি তদারকি করছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
এ ব্যাপারে জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খোরশেদ আলম জানান, করোনা ভাইরাসের ভয়াবহ পরিস্থিতি মোকাবিলায় কেউ যাতে ব্যক্তিগত গাড়িতে করে ঢাকায় প্রবেশ বা ঢাকা থেকে বের হতে না পারে সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে মহাসড়কে আটটি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। যৌক্তিক কারণ ছাড়া নানা অজুহাতে যেসব গাড়ি ঢাকায় প্রবেশ করছে তাদের ঘুরিয়ে ফেরত পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত কমপক্ষে দুই-তিন হাজার ব্যক্তিগত গাড়ি ফেরত পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। আপাতত ৩০ মে পর্যন্ত সরকারি আওতার বাইরে বাইরে নিষিদ্ধ করা কোনো গাড়ি ঢাকায় প্রবেশ এবং ঢাকা থেকে বের হতে দেয়া হবে না।