
ওয়াসীম আকরাম, লেবানন থেকেঃ-
বৈরুত বাংলাদেশ দূতাবাসের আয়োজনে স্বেচ্ছায় দেশে ফিরতে অবৈধ কাগজপত্র বিহীন প্রবাসীদের নাম নিবন্ধন গত ২৫ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়ে ২৮ ডিসেম্বর সমাপ্তি ঘটে । এতে প্রায় সাড়ে তিন হাজারের অধিক প্রবাসী দেশে ফিরতে নিজেদের নাম নিবন্ধন করেন।
লেবাননে বর্তমান অসহায় পরিস্থিতিতে অবৈধ কাগজপত্র বিহীন প্রবাসীরা নাম নিবন্ধন করতে
প্রথমদিন অসংখ্য প্রবাসী ভীড় নজরে পড়ে পরবর্তী দিনগুলোতে মোটামুটি উপস্থিতি লক্ষ্য করা হয়।
দূতাবাস জরিমানা বাবদ একলক্ষ চল্লিশ হাজার লেবানিজ লিরা জমা দিয়ে নাম নিবন্ধনের ঘোষণা থাকলেও এদেশের জেনারেল সিকিউরিটি থেকে সেই মূদ্রা মাফ করাতে শেষদিনে নাম নিবন্ধনকারীদের নিকট থেকে সেই মূদ্রা জমা করতে হয় নেই। এদিকে দূতাবাসের ফেসবুক পেইজে জানানো হয় আগে যারা এই জরিমানা জমা দিয়ে নাম নিবন্ধন করেছেন তাদের জমাকৃত মূদ্রা ফেরত দেয়া হবে।
উল্লেখ যে, লেবানন দীর্ঘ প্রায় ১৪/১৫ মাস রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক,ডলার সংকট, করোনা ভাইরাস (কোভিড ১৯)সংক্রমণ, বৈরুত বন্দরে বিস্ফোরণ,ঘন-ঘন প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ ও নতুন প্রধানমন্ত্রী মনোনীত করা আবার মন্ত্রী পরিষদ গঠনে মতবিরোধ কারণে কর্মহারা হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে বৈধ -অবৈধ অসংখ্য প্রবাসীরা। দীর্ঘদিন যাবত বাংলাদেশ থেকে টাকা এনে তিনবেলার মধ্যে একবেলা খেয়ে দিনাতিপাত করতে হচ্ছে অনেক প্রবাসী।
আবার অনেকে দেশে থেকে টাকা এনে টিকেট বাবদ চারশত আমেরিকান ডলার জমা দিয়ে নাম নিবন্ধন করেছেন বলে জানা যায়।
অন্যদিকে কোন ডকুমেন্ট নেই এমন এক থেকে পনের বা বিশ বছর এখানে বিভিন্ন কর্ম নিয়ে বসবাস করলেও কয়েকবার দূতাবাসের এমন বিশেষ সুযোগে দেশে ফিরতে না পারায় দূঃখ প্রকাশ করেন অনেক প্রবাসী ।তারা বাংলাদেশ সরকার এবং দূতাবাসের প্রতি সবিনয় অনুরোধ জানিয়ে বলেন, আমরা বাঙালি এবং বাংলাদেশী।
নিজের তথাপি পরিবারের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ এবং দেশের রেমিট্যান্স বৃদ্ধির জন্য আমরা এই লেবানন প্রবাসে এসেছিলাম কিন্ত ভাগ্যের পরিহাস দালাল এবং মালিক পক্ষ থেকে নির্যাতিত হয়ে ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় সবকিছুই হারিয়ে আমরা শুধু মানব হিসাবে আছি।আমাদেরকে দেশে ফিরতের যে কোন একটা ব্যবস্থা যেন কর্তৃপক্ষ করেন।